যেভাবে এলো টুথব্রাশ!

যেভাবে এলো টুথব্রাশ!

টুথব্রাশ আমাদের জীবনে এক অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। এটা ছাড়া দাঁত পরিষ্কার করার কথা ভাবাও যায় না। খুব সহজে ও নিশ্চিন্তে আমরা আমাদের দাঁত পরিষ্কার করতে পারি এই টুথব্রাশের সাহায্যে। আসুন আজ জেনে নেই, টুথব্রাশের মজার কিছু বিষয়।

১। পৃথিবীর সর্বপ্রথম টুথব্রাশ আবিস্কার করেন এক জেলখানার কয়েদি, উইলিয়াম আদ্দিস। ১০ বছর কারাভোগের সময়কালে জেলে বসে সে তার রাতের খাবার থেকে হাড় বাঁচিয়ে রেখে দিত। সেটাতে চুল বা পশুর পশম লাগিয়ে টুথব্রাশ তৈরি করতে সক্ষম হল। এই ধারনা সে মেঝে পরিষ্কার করার ঝাড়ু থেকে পেয়েছিল।

২। আপনি জানেন কি? পৃথিবী জুড়ে মানুষ দাঁত ব্রাশ করতে সময় নেয় গড়ে ৪৮ মিনিট, কিন্তু ডাক্তারদের মতে সেটা হওয়া উচিত ২-৩ মিনিট প্রতিদিনে।

৩। টুথব্রাশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রঙ কোনটি বলুন তো? উত্তরঃ নীল রঙ।

৪। প্রথম বাণিজ্যিক টুথব্রাশ বাজারে আসে ১৯৩৮ সালে।

৫। পরিবেশবান্ধব টুথব্রাশ আবিস্কার করেছেন জ্যাক হকানসন।

৬। টাইটানিয়ামে তৈরি টুথব্রাশ পৃথিবীর সবচেয়ে দামি টুথব্রাশ, দাম মাত্র ৪ হাজার ডলার।

৭। অনেকেই ব্রাশ ঢেকে রাখি একটা ক্যাপ দিয়ে, কিন্তু এতে ব্রাশ ভেজা থাকে অনেকক্ষণ ফলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে।

৮। একজন আমেরিকান তার জীবনের গড়ে ৩৮ দিন দাঁত ব্রাশে সময় কাটান।

৯। টুথব্রাশের আঁশ মূলত গরুর পশম দিয়ে তৈরি। ঘাবড়ানোর কিছু নেই, বর্তমানের সব ব্রাশ নাইলনের আঁশ দিয়ে তৈরি।

সূত্র: ইন্টারনেট