চেঙ্গিস খান পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাবান ও শক্তিশালী মানুষ ছিলেন। তার ছিল শক্তিশালী সেনাবাহিনী যারা ইচ্ছা করলে যেকোন দেশ দখল করতে পারত। কিন্তু তাদের অত্যাচার ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য তারা এখন ইতিহাসে ঘৃণিত হয়ে আছেন।
- চেঙ্গিস খানের সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড নেমে আসে ইরানের উপরে। চেঙ্গিস খান ইরান দখল করে পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড চালায়। এই গণহত্যায় ইরানের জনসংখ্যা এত কমে যায় যে সেই জনসংখ্যা পুরন হতে ইরানের ৮০০ বছর লাগে।
- চেঙ্গিস খান যখন বাগদাদ আক্রমন করে তখন বাগদাদ ছিল ইসলামিক স্বর্ণযুগের জ্ঞান ও বিজ্ঞানের একটা প্রাণভূমি। চেঙ্গিস খান ইরাক বাগদাদ আক্রমন করে এত ধ্বংস ও লূটতরাজ চালায় যা অকল্পনীয়। অনেক ঐতিহাসিক বলেন তার ধ্বংসযজ্ঞে টাইগ্রিস নদীর পানি কলমের কালি এবং বইয়ের কালিতে কালো হয়ে গিয়েছিল। আর অনেকেই বলে থাকেন এটাই ছিল ইসলামিক স্বর্ণযুগের অবসান।
- বেশীরভাগ যুদ্ধেই মঙ্গলদের প্রতিপক্ষ থেকে কম ছিল। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের উপর প্রভাব বিস্তার করতে তারা মঙ্গল সৈন্যের পোশাক পরিয়ে ঘোড়ার উপর পুতুল বসিয়ে রাখত যাতে শত্রুপক্ষ ভয় পায় যে তারা অনেক বড় বাহিনীর মোকাবেলা করছে।
- চেঙ্গিস খান তার ভাইকে হত্যা করে সে তাকে খাবারের ভাগ না দেয়ার কারণে। একদিন রাতে চেঙ্গিস খান ও তার ভাইয়ের ঝগড়া হয় কারণ তার ভাই তাকে খাবারের ভাগ দেয়নি। চেঙ্গিস খান সেই ছোট ঝগড়াকে বড় করে তুলেন এবং তার ভাইকে হত্যা করে প্রতিশোধ নেন।
- মঙ্গলদের নিয়ম ছিল তারা কোন অভিজাত বা রাজবংশীয় কারো রক্ত মাটিতে পড়তে দিতে পারতোনা। কিন্তু চেঙ্গিস খান যখন মনে করত এদেরকে তার হত্যা করা লাগবে সে কোন না কোন একটা উপায় বের করত কিভাবে তাদের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানো যায়।
- চেঙ্গিস খান এতোটাই ভয়ংকর ও গরম মাথার মানুষ ছিলেন যে তিনি তার শাসনামলে ৪ কোটিরও বেশী মানুষ হত্যা করেন। কখনো এমনও হয়েছে কোন গ্রাম বা সহরের কেউ যদি তার বিরুদ্ধে যেত তিনি গ্রামের সব মানুষকে হত্যা করতেন।
- চেঙ্গিস খানের নিজের সম্রাজ্য বাড়ানোর একটা অদ্ভুত কৌশল ছিল। তিনি তার কন্যাদের তার বন্ধু রাষ্ট্রের রাজাদের সাথে বিয়ে দিতেন। এবং বিয়ের পরে সেই রাজাকে এমন এক যুদ্ধে পাঠিয়ে দিতেন যেখান থেকে সে কখনো ফিরে আসবে না। এভাবেই সে তার নিজের মেয়েকে অন্য রাষ্ট্রের রানী হিসেবে বসিয়ে দিতেন।
- চেঙ্গিস খান যখন রাশিয়া জয় করেন তখন সেই জয় অনেক কষ্টে আসে। তার পক্ষের ও বিপক্ষের অনেক সৈন্য মারা যায়। কষ্ট করে পাওয়া জয় উদজাপন করতে চেঙ্গিস খান অভিনব একটা পন্থা নেন। তিনি বেঁচে থাকা রাশিয়ান সৈন্যদের মাটিতে শুইয়ে তাদের উপর একটা মঞ্ছ তৈরি করেন এবং তার উপর নিজের জয় উদজাপন করেন আর নিচে রাশিয়ান সৈন্যরা পিষ্ট হয়ে মারা যেতে থাকে।