সূরা আল-বাকারা
সূরা আল-বাকারা- অর্থসমূহের অনুবাদ (আয়াত ৫১ থেকে ১০০)
(২:৫১)আর স্মরণ কর, যখন আমরা মূসার সাথে চল্লিশ রাতের অঙ্গীকার করেছিলাম, তার (চলে যাওয়ার) পর তোমরা গো-বৎসকে (উপাস্যরূপে) গ্রহণ করেছিলে,আর তোমরা হয়ে গেলে যালিম
(২:৫২)এর পরও আমরা তোমাদেরকে ক্ষমা করেছিলাম যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।
(২:৫৩)আর স্মরণ কর, যখন আমরা মূসাকে কিতাব ও ফুরকান দান করেছিলাম, যাতে তোমরা হিদায়াত লাভ করতে পার।
(২:৫৪)আর স্মরণ কর, যখন মূসা আপনার জাতির লোকদের বললেন,হে আমার জাতি! গো –বৎসকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে তোমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছ, কাজেই তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করে তোমাদের স্রষ্টার কাছে তওবা কর। তোমাদের সৃষ্টিকর্তার নিকট এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর। তারপর তিনি তোমাদের কে ক্ষমা করেছিলেন। অবশ্যই তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ।
(২:৫৫)স্মরণ কর যখন তোমরা বলেছিলে হে মূসা!আমরা আল্লাহ্কে প্রকাশ্যভাবে না দেখা পর্যন্ত তোমাকে বিশ্বাস করব না,ফলে তোমাদেরকে বজ্র পাকড়াও করলো,যা তোমরা নিজেরাই দেখছিলে।
(২:৫৬)তারপর আমি তোমাদেরকে পুনর্জীবিত করেছি তোমাদের মৃত্যুর পর যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও।
(২:৫৭)আর আমি মেঘ দ্বারা তোমাদের উপর ছায়া বিস্তার করলাম এবং তোমাদের নিকট মান্নাও সাল্ওয়া প্রেরণ করলাম। (বলেছিলাম),আহার কর উত্তম জীবিকা, যা আমি তোমাদেরকে দান করেছি।আর তারা আমার প্রতি যুলুম করেনি, বরং তারা নিজেদের প্রতিই যুলুম করেছিল।
(২:৫৮) আর স্মরন কর, যখন আমি বললাম, এই জনপদে প্রবেশ করে তা হতে যা ইচ্ছ্যে স্বাচ্ছন্দ্যে আহার কর এবং দরজা দিয়ে নতশিরে প্রবেশ কর। আর বলো,ক্ষমা চাই। আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবো। অচিরেই আমি মুহসীনদেরকে বাড়িয়ে দেব।
(২:৫৯)কিন্তু যালিমরা তাদেরকে যা বলা হয়েছিল তার পরিবর্তে অন্য কথা বলল। কাজেই আমরা যালিমদের প্রতি তাদের অবাধ্যতার কারণে আকাশ হতে শাস্তি নাযিল করলাম
(২:৬০) আর স্মরণ কর, যখন মূসা তার জাতির জন্য পানি চাইলেন। আমি বললাম,আপনার লাঠি দ্বারা পাথরে আঘাত করুন। ফলে তা হতে বারোটি প্রস্রবণ প্রবাহিত হলো। প্রত্যেক গোত্র নিজ নিজ পানি গ্রহণের স্থান জেনে নিলো। (বললাম),আল্লাহ্র দেয়া জীবিকা হতে তোমরা খাও, পান কর এবং যমীনে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়িয়ো না।
(২:৬১)আর যখন তোমরা বলেছিলে,হে মূসা ! আমারা একই রকম খাদ্যে কখনও ধৈর্য ধারণ করবো না। সুতরাং তুমি তোমার রবের কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা কর তিনি যেন আমাদের জন্য ভূমিজাত দ্রব্য শাক-সবজি, কাঁকুড়, গম, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপাদন করেন।
মূসা বললেন,তোমরা কি উত্তম জিনিসের বদলে নিম্নমানের জিনিস চাও ? তবে কোনো শহরে চলে যাও, তোমরা যা চাও,সেখানে তা আছে, আর তাদের উপর লাঞ্ছনা ও দারিদ্র্য আপতিত হলো এবং তারা আল্লাহ্র গযবের শিকার হলো। এটা এ জন্য যে ,তারা আল্লাহ্র আয়াতসমূহকে অস্বিকার করতো এবং নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করতো। অবাধ্যতা ও সীমালঙ্ঘন করার জন্যই তাদের এ পরিণতি হয়েছিল
(২:৬২)নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে, যারা ইয়াহূদী হয়েছে এবং নাসারা ও সাবিঈরা যারাই আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য পুরস্কার রয়েছে তাদের রব-এর কাছ থেকে। আর তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না
(২:৬৩) আর স্মরণ কর, যখন আমি তোমাদের অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং তোমাদের উপর উত্তোলন করেছিলাম,তুর পর্বত; (বলেছিলাম) আমি যা দিলাম দৃঢ়তার সাথে তা গ্রহণ করো এবং তাতে যা আছে তা স্মরণ রাখ, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করতে পার
(২:৬৪)এরপরেও তোমরা মুখ ফিরালে ! অতঃপর তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহ এবং অনুকম্পা না থাকলে তোমরা অবশ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে
(২:৬৫)আর তোমাদের মধ্যে যারা শনিবার সম্পর্কে সীমালঙ্ঘন করেছিলো তাদেরকে তোমরা নিশ্চিতভাবে জেনেছিলে। ফলে আমরা তদেরকে বলেছিলাম,তোমরা ঘৃণিত বানরে পরিণত হও
(২:৬৬)অতএব আমি এটা করেছি তাদের সমকালীন ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি । আর মুত্তাকীদের জন্য উপদেশসরুপ
(২:৬৭)আর স্মরন কর, যখন মূসা তার জাতিকে বললেন,আল্লাহ্ তোমাদেরকে একটি গাভী যবেহ করার আদেশ দিয়েছেন, তারা বলল তুমি কি আমাদের সঙ্গে ঠাট্টা করছো মূসা বললেন,আমি অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আল্লাহ্র আশ্রয় চাই
(২:৬৮) তারা বলল,আমাদের জন্য তোমার রবকে আহ্বান কর তিনি যেন আমাদেরকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, সেটা কিরুপ মূসা বললেন,আল্লাহ্ বলছেন, সেটা এমন গাভী যা বৃদ্ধও নয়, অল্পবয়স্কও নয়, মধ্যবয়সী। অতএব, তোমাদেরকে যে আদেশ করা হয়েছে তা পালন কর।
(২:৬৯)তারা বলল,আমাদে জন্য তোমার রব কে ডাকো,সেটার রঙ কী,তা যেন বলে দেন।মূসা বললেন,তিনি বলেছেন,সেটা হলুদ বর্ণের গাভী,উজ্জ্বল গাঢ় রঙ বিশিষ্ট,যা দর্শকদের আনন্দ দেয়
(২:৭০)তারা বলল,তোমার রবকে আহ্বান করো, তিনি যেন আমাদেরকে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, সেটা কোনটি ? নিশ্চয় গাভীটি আমদের জন্য সন্দেহ পূর্ণ হয়ে গেছে। আর আল্লাহ্ ইচ্ছে করলে আমরা নিশ্চয় দিশা পাবো
(২:৭১) মূসা বললেন,তিনি বলেছেন,সেটা এমন এক গাভি যা জমি চাষে ও ক্ষেতে পানি সেচের জন্য ব্যবহৃত হয়নি,সুস্থ ও নিখুঁত। তারা বলল, এখন তুমি সত্য নিয়ে এসেছ।অবশেষে তারা সেটাকে যবেহ করলো, যদিও তারা তা করতে প্রস্তুত ছিলো না
(২:৭২)আর স্মরন কর, যখন তোমরা এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে তারপর একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করছিলে, আর তোমরা যা গোপন করেছিলে আল্লাহ্ তা ব্যক্তকারী।
(২:৭৩)আতঃপর আমি বললাম,এর কোনো অংশ দিয়ে তাকে আঘাত কর।এমনিভাবে আল্লাহ্ মৃতকে জীবিত করেন,এবং তোমাদেরকে দেখিয়ে থাকেন তাঁর নিদর্শন,যাতে তোমরা অনুধাবন করতে পার
(২:৭৪)এরপরও তোমাদের হৃদয় কঠিন হয়ে গেল, যেন পাথর কিংবা তার তার চেয়েও কঠিন। অথচ কোনো কোনো পাথর তো এমন যা থেকে নদি-নালা প্রবাহিত হয়, আর কিছু এরুপ যে, বিদীর্ণ হওয়ার পর তা হতে পানি নির্গত হয়, আবার কিছু এমন যা আল্লাহ্র ভয়ে ধ্বসে পড়ে, আর তোমরা যা কর আল্লাহ্ সে সম্পর্কে গাফিল নন।
(২:৭৫)তোমরা কি এ আশা করো যে, তারা তোমাদের কথায় ঈমান আনবে ? অথচ তাদের একদল আল্লাহ্র বাণী শ্রবণ করে, তারপর তারা তা অনুধাবন করার পর বিকৃত করে, অথচ তারা জানে
(২:৭৬)আর তারা যখন মুমিনদের সাথে সাক্ষাত করে তখন বলে,আমরা ঈমান এনেছি। আবার যখন তারা গোপনে একে অন্যের সাথে মিলিত হয় তখন বলে, তোমরা কি তাদেরকে তা বলে দাও যা আল্লাহ্ তোমাদের কাছে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন,যাতে তারা এর মাধ্যমে তোমাদের রবের নিকট তোমাদের বিরুদ্ধে দলিল পেশ করবে ? তবে তোমরা কি বুঝ না
(২:৭৭) তারা কি জানে না যে, তারা যা গোপন রাখে এবং যা ব্যক্ত করে, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা জানেন?
(২:৭৮) আর তাদের মধ্যে এমন কিছু নিরক্ষর লোক আছে যারা মিথ্যা আশা ,ছাড়া কিতাব সম্পর্কে কিছুই জানে না, তারা শুধু অমূলক ধারণা পোষণ করে।
(২:৭৯) কাজেই দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে, অতঃপর সামান্য মূল্য পাওয়ার জন্য বলে,এটা আল্লাহ্র কাছ থেকে। অতএব, তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য তাদের ধ্বংস এবং যা তারা উপার্জন করেছে তার জন্য তাদের ধ্বংস
(২:৮০)তারা বলে,সামান্য কিছু দিন ছাড়া আগুন আমাদেরকে কখনও স্পর্শ করবে না। বলুন,তোমরা কি আল্লাহ্র কাছ থেকে এমন কোনো অঙ্গীকার নিয়েছ, যে অঙ্গিকারের বিপরীত আল্লাহ্ কখনও করবেন না ?নাকি আল্লাহ্ সম্পর্কে এমন কিছু বলছ যা তোমরা জান না ?
(২:৮১) হ্যাঁ, যে পাপ উপার্জন করেছে এবং তার পাপরাশি তাকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে, তারাই অগ্নিবাসি, সেখানে তারা স্থায়ী হবে।
(২:৮২)আর যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করেছে তারাই জান্নাতবাসী, তারা সেখানে স্থায়ী হবে।
(২:৮৩)আর স্মরণ কর, যখন আমি ইসরাঈল-সন্তানদের প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ্ ছাড়া আর কারো ইবাদাত করবে না, মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম ও দরিদ্রের সাথে সদয় ব্যবহার করবে এবং মানুষের সাথে সদালাপ করবে। আর সালাত প্রতিষ্ঠা করবে এবং যাকাত দিবে, তারপর তোমাদের মধ্য হতে কিছুসংখ্যক লোক ছাড়া তোমরা সকলেই অবজ্ঞা করে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলে।
(২:৮৪)আর স্মরণ কর, যখন তোমাদের প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম,তোমরা একে অপরের রক্তপাত করবে না এবং একে অন্যকে স্বদেশ থেকে বহিষ্কার করবে না, তারপর তোমরা তা স্বীকার করেছিলে। আর তোমরা তার সাক্ষ্য দিচ্ছ।
(২:৮৫)তারপর তোমরাই তারা, যারা নিজেদের কে হত্যা করছ এবং তোমাদের এক দলকে তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করছ। তোমরা একে অন্যের সহযোগীতা করছ তাদের উপর অন্যায় ও সীমালঙ্ঘন দ্বারা। আর তারা যখন বন্দীরুপে তোমাদের কাছে উপস্থিত হয় তখন তোমরা মুক্তিপণ দাও, অথচ তাদেরকে বহিষ্কার করাই তোমাদের উপর হারাম ছিলো। তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশে ঈমান আনো এবং কিছু অংশে কুফরী করো ?
তাহলে তোমাদের যারা এরুপ করে তাদের একমাত্র প্রতিফল দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ও অপমান এবং কিয়ামতের দিন তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে কঠিনতম শাস্তির দিকে। আর তারা যা করে আল্লাহ্ সে সম্পর্কে গাফিল নন।
(২:৮৬)তারাই সে লোক, যারা আখেরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবন ক্রয় করে ; কাজেই তাদের শাস্তি কিছুমাত্র কমানো হবে না এবং তাদের কে সাহায্যও করা হবে না।
(২:৮৭)অবশ্যই আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছি এবং তারপরে পর্যায়ক্রমে রাসূলগণকে পাঠিয়েছি,আমি মারইয়াম পূত্র ঈসাকে স্পষ্ট প্রমাণ দিয়েছি এবং রুহুল কুদুস দ্বারা তাকে শক্তিশালী করেছি। তবে কি যখনি কোনো রাসূল তোমাদের কাছে এমন কিছু এনেছে যা তোমাদের মনঃপুত নয় তখনি তোমরা অহংকার করেছ ? অতঃপর (নবীগণের) একদলের উপর মিথ্যারোপ করেছ এবং একদলকে করেছ হত্যা ?
(২:৮৮) আর তারা বলেছিলো,আমাদের অন্তরসমূহ আচ্ছাদিত,বরং তাদের কুফরীর কারণে আল্লাহ্ তাদেরকে লানত করেছেন। সুতরাং তাদের কম সংখ্যকই ঈমান আনবে।
(২:৮৯) আর যখন তাদের কাছে যা আছে আল্লাহ্র কাছ থেকে তার সত্যায়নকারী কিতাব আসলো অথচ পূর্বে তারা এর সাহায্যে কাফেরদের বিরুদ্ধে বিজয় প্রার্থনা করতো, তারপর তারা যা চিনত যখন তা তাদের কাছে আসল, তখন তারা সেটার সাথে কুফরী করল। কাজেই কাফেরদের উপর আল্লাহ্র লানত।
(২:৯০)যার বিনিময়ে তারা তদের নিজেদের কে বিক্রি করেছে তা কতই না নিকৃষ্ট ! তা হচ্ছে, আল্লাহ্ যা নাযিল করেছেন, তারা তার সাথে কুফরী করেছে, হটকারীতাবশত, আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা স্বীয় অনুগ্রহ নাযিল করেন।কাজেই তারা ক্রোধের উপর ক্রোধ অর্জন করেছে।কাফিরদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাময় শাস্তি
(২:৯১) আর যখন তাদের কে বলা হয়,আল্লাহ্ যা নাযিল করেছেন তাতে ঈমান আনো,তারা বলে,আমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে আমরা কেবল তাতে ঈমান আনি অথচ এর বাইরে যা কিছু আছে সবকিছুই তারা অস্বীকার করে, যদিও তা সত্য এবং তাদের নিকট যা আছে তার সত্যায়নকারী।
বলুন,যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক, তবে কেন তোমরা অতীতে আল্লাহ্র নবীদেরকে হত্যা করেছিলে ?
(২:৯২) অবশ্যই মূসা তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ এসেছিলেন, তারপর তোমরা তার অনুপস্থিতিতে গো বৎসকে (উপাস্যরুপে) গ্রহন করেছিলে। বাস্তবিকই তোমরা যালিম
(২:৯৩) স্মরণ কর, যখন আমরা তোমাদের প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম এবং তুরকে তোমাদের উপর উত্তোলন করেছিলাম, (বলেছিলাম) যা দিলাম দৃঢ়ভাবে গ্রহণ কর এবং শোন তারা বলেছিল,আমরা শোনলাম ও অমান্য করলাম। আর কুফরীর কারণে তাদের অন্তরে গোবৎসপ্রীতি ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল। বলুন,যদি তোমরা ঈমানদার হও তবে তোমাদের ঈমান যার নির্দেশ দেয় তা কত নিকৃষ্ট।
(২:৯৪)বলুন,যদি আল্লাহ্র কাছে আখেরাতের বাসস্থান অন্য লোক ছাড়া বিশেষভাবে শুধু তোমাদের জন্যই হয়, তবে তোমরা মৃত্যু কামনা কর-যদি সত্যবাদী হয়ে থাক
(২:৯৫)কিন্তু তাদের কৃতকর্মের কারণে তারা কখনো তা কামনা করবে না। আর আল্লাহ্ যালিমদের সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞানী।
(২:৯৬)আর আপনি অবশ্যই তাদেরকে জীবনের প্রতি অন্যসব লোকের চেয়ে বেশী লোভী দেখতে পাবেন, এমনকি মুশরিকদের চাইতেও। তাদের প্রত্যেকে আশা করে যদি হাজার বছর আয়ু দেয়া হত, অথচ দীর্ঘায়ু তাকে শাস্তি হতে নিস্কৃতি দিতে পারবে না। তারা যা করে আল্লাহ্ তার সম্যক দ্রষ্টা।
(২:৯৭) বলুন, যে কেউ জিবরীলের শত্রু হবে, এজন্যে যে, তিনি আল্লাহ্র অনুমতিক্রমে আপনার হৃদয়ে কুরআন নাযিল করেছেন, যা পূর্ববর্তী কিতাবেরও সত্যায়ণকারী এবং যা মুমিনদের জন্য পথপ্রদর্শক ও শুভ সংবাদ
(২:৯৮) যে কেউ আল্লাহ্, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর রাসূলগণ এবং জিব্রীল ও মীকাঈলের শত্রু হবে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্ কাফিরদের শত্রু
(২:৯৯) আর অবশ্যই আমি আপনার প্রতি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ নাযিল করেছি। ফাসিকরা ছাড়া অন্য কেউ তা অস্বীকার করে না।
(২:১০০) এটা কি নয় যে, তারা যখনই কোনো অঙ্গীকার করেছে তখনই তাদের কোনো এক দল তা ছুঁড়ে ফেলেছে ? বরং তাদের অধিকাংশই ঈমান আনে না।