আজব বিয়ের গজব রীতিনীতি!
বিয়ে নিয়ে অসংখ্য অজানা, অদ্ভুত রীতি ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বে, এমনকী আমাদের দেশের আনাচে কানাচেও! বিয়ে নিয়ে সেসব অদ্ভুত রীতি জেনে নিন-
ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ায় বিয়ের শেষে অতিথিরা সারি বেঁধে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়েন। তাদের উপর দিয়ে অবলীলায় হেঁটে যান নবদম্পতি।
উত্তর বোর্নিওতে বিয়ের পর বর বউকে ৩দিন, ৩ রাত একটি ঘরে একসঙ্গে বন্ধ করে রাখা হয়। এই সময়ে তাদের বাথরুমে প্রবেশ করাও নিষেধ।
নাচ-গান হই-হুল্লোড় ছাড়া আমাদের বিয়ে অসম্পূর্ণ। ডেনমার্কে বিয়ের অনুষ্ঠান হয় আড়ম্বরহীন। কারণ তাদের ভয়, জাঁকজমক দেখে আশরীরীরা নাকি ছুটে আসে।
মঙ্গোলিয়ার 'দাউর' প্রজাতির নবদম্পতিকে জ্যন্ত মোরগ বলি দিতে হয়, বিয়ে পাকা পোক্ত করার জন্যই এমন নিয়ম।
কঙ্গোতে বিয়ের আসরে উপস্থিত থাকেন একজন কৌতুক অভিনেতা। তিনি নিমন্ত্রিতদের হাসাবেন, তারা হাসবেনও কিন্তু বর-কনের হাসতে মানা!
বিয়ের আচার অনুষ্ঠানের পর একটি কাচের পাত্র ভেঙে ফেলেন ইতালিয় নবদম্পতি। তারপর সেই ভাঙা পাত্রটির প্রতিটি খণ্ড গুনে গুনে কুড়িয়ে তুলতে হয়। যত গুলো টুকরো, ততবছর তাঁদের বিবাহিত জীবনের মেয়াদ! এমনটাই মনে করেন ইতালিয়রা।
বিয়ের দিন, ওয়েলশ-এর পুরুষরা নিজের হাতে কাঠ কেটে, একটি চামচ তৈরি করে উপহার দেন বউকে।
চীনের 'তুজা' প্রজাতির মেয়েরা বিয়ের মাসখানেক আগে থেকেই রোজ ১ ঘণ্টা করে কান্না প্র্যাকটিস করেন। আর তাদের এই প্র্যাকটিস সেশনে উৎসাহ যোগান মা, ফুফু, দিদিরা। তারাও মেয়েটির সাথে তালে তাল মিলিয়ে কাঁদতে বসেন।
সিংহের সাথে যু্দ্ধ করতে হয় বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগে মাসাই পাত্রদেরকে। কনেকে উপহার দিতে হয় সেই মৃত সিংহের ছাল । (অবশ্য পাত্র যদি নিজে প্রাণে বাঁচেন তো!)
হবু শ্যালকের জন্য পাত্রী খোঁজার পরই একজন পিগমি যুবক বিয়ের আসনে বসতে পারবেন। সেই পাত্রী আবার হতে হবে তারই কোনও আত্মীয়া।
বিয়ে টিকিয়ে রাখতে দক্ষিণ সুদানের বিবাহিতাদের দু'টি সন্তান জন্ম দেওয়া আবশ্যক।