চীনের লাল সৈকত!
সমুদ্রসৈকত বলতে সাধারণত সাগর পাড়ে ধূসর বালুর স্তর চোখের সামনে আসে। সেখানে কিছুক্ষণ পরপর আছড়ে পড়ে ঢেউ। কিন্তু সেই জায়গাটি যদি দেখতে হয় লাল, তাহলে অবাকই হতে পারেন। চারিদিকে শুধু লাল আর লাল। মনে হবে লাল রঙের রাজ্য। এমনই এক লাল সমুদ্রসৈকতের কথা জানবো আজ।
চীনের পানজিয়াং সৈকত, এটি বালুতে ঢাকা নয়; বরং এক প্রকার সামুদ্রিক শৈবালের রাজত্ব এখানে। গ্রীষ্মকালে সবুজ থাকলেও, শরৎকালে উজ্জ্বল লাল বর্ণ ধারণ করে এসব শৈবাল। লাল উদ্ভিদের জন্য বিখ্যাত এই সমুদ্রসৈকত।
চীনের উত্তরাঞ্চলে এই সমুদ্র সৈকত। এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সংরক্ষিত নিম্নাঞ্চল যা সারা বছরই জলের নিচে থাকে। লাল রঙের সামুদ্রিক ঘাস এবং আগাছায় সম্পূর্ন সৈকত আবৃত হয়ে থাকে। কিছু দূর্লভ ঘাস এবং প্রাণী এখানে পাওয়া যায়।
এই সৈকতের ঘাসগুলো লাল হওয়ার অন্যতম কারণ হল এই জায়গার অত্যাধিক লবনাক্ততা এবং মাটির মধ্যে ক্ষারের পরিমাণের ব্যাপকতা। শতাধিক বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আছে এই লাল রঙের আগাছা বা ঘাস যা কিনা এই সমুদ্র সৈকতকে দিয়েছে এক অপরূপ সৈন্দর্য।
এই এলাকায় পাওয়া যায় বিলুপ্তপ্রায় মুকুটধারী সারস পাখি আর কালো ঠোঁটের শঙ্খচিল। এখানে সারস পাখি এত বেশি দেখা যায় যে পানজিয়াংকে অনেক সময় সারসের ঘর বলেও ডাকা হয়। ১৯৮৮ সালে এলাকাটির গাছপালা ও পশুপাখি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সৈকতের এই সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করতে চাইলে মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সেখানে যেতে হবে। তবে সেই শৈবালের উপর দিয়ে পায়ে হাটার সুযোগ নেই পর্যটকদের। দীর্ঘ সেতু দিয়ে ঘুরে দেখা যায় সৈকতের আংশিক অঞ্চল। এছাড়া বিকেল ৫টার মধ্যেই সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে।