কেন চুল পেকে যায়?

কেন চুল পেকে যায়?

বিশেষ কিছু কারণ আছে যা চুলের স্বাভাবিক রঞ্জক কার্যক্রমের পরিবর্তন এনে দিতে পারে এবং চুল পাকার হার বাড়িয়ে দিতে পারেঃ

অতিমাত্রায় ওষুধ সেবন

আমরা অনেক সময় ডাক্তারের পরমরশ ছাড়াই অনেক রকম ওষুধ খেয়ে থাকি, অতিরিক্ত ওষুধ আপনার শরীরের বয়স যেমন বাড়িয়ে দিতে পারে, তেমনি চুলকেও প্রভাবিত করে থাকে।

রক্ত স্বল্পতা

থাইরয়েডের সমস্যা, বি ভিটামিনের ঘাটতি এবং অন্যান্য রোগের কারণে অকালে চুল পেকে যেতে পারে।

ধূমপান

সাধারণের চেয়ে ধূমপায়ীদের চুল পাকার সম্ভাবনা ৪ গুণ বেশী হয়ে থাকে। ধূমপান বন্ধ করলে circulation পর্যাপ্ত গতিতে চলে আর চুলের অকাল-পক্কতাও রোধ হয়। তাহলে দেখলেন তো সিগারেট শরীরের ক্ষতি করে, পকেটের-ও ক্ষতি করে।

বিষণ্ণতা ও হতাশা থেকে দূরে থাকুন

মানসিক বিষণ্ণতা, হতাশা ও দুশ্চিন্তা চুলের অকাল-পক্কতার  অন্যতম কারণ। তাই হাসি খুশিতে জীবনটা ভরিয়ে তুলুন। দিনে কয়েকবার লম্বা শ্বাস নিন আর ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। হাজার ব্যস্ততার মাঝেও নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে নিন। দুশ্চিন্তা কাটানোর জন্য অনেক সময় নিয়ে গোসল করুন।

শরীরের আদ্রতা বজায় রাখুন

চা, কফি বা অ্যালকোহলের অভ্যাস থাকলে টা পরিহার করুন। পানি পান করুন বেশি বেশি। মশলাদার আর ভাজাভুজি জাতীয় খাবার-ও এড়িয়ে চলুন, যেহেতু এই খাবার গুলো শরীরকে dehydrate করে শুষ্ক করে তোলে। আদ্রতার অভাবে পুষ্টিকর উপাদান চুলের ফলিকলে পৌঁছাতে পারেনা, ফলস্রুতিতে পাকা চুলের আনাগোনা দেখা যায়।

আয়োডিন যুক্ত খাবার খান

আয়োডিন হলো আরেকটি মিনারেল যেটি চুলের রঙ বজায় রাখে। কলা, গাজর, সামুদ্রিক মাছ এবং পালং শাকের মত আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।

বয়স

শরীরে মেলানিনের উৎপাদন কমে গেলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল ধূসর হতে শুরু করে আস্তে আস্তে সাদা হয়ে যায়।

বংশগত কারণ

জিন নির্ধারণ করে দিবে আপনার চুল কখন পেকে যেতে পারে। জিন আলাদা ভাবে প্রতিটি চুলের গোঁড়ার স্বাভাবিক রঞ্জক কার্যক্রমের সামর্থ্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।