মস্তিস্কের জন্য ক্ষতিকর কোন অভ্যাস গুলো ?

মস্তিস্কের জন্য ক্ষতিকর কোন অভ্যাস গুলো ?

মস্তিষ্ক ছাড়া আমরা আসলে একটা জড় পদার্থ। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমাদের নিজেদের কিছু কিছু অভ্যাস নষ্ট করে দিচ্ছে মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা, দিন দিন হারিয়ে ফেলছি স্মৃতিশক্তি, চিন্তা করার ক্ষমতা ও সেই সাথে চলার ক্ষমতাও।

না ঘুমানোর অভ্যাসঃ কাজের চাপ কিংবা ইচ্ছে করে অনেকেই রাত জাগেন। কম ঘুম মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলে মস্তিষ্ক হারায় স্বাভাবিক কর্মদক্ষতা। তাই প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানো খুব জরুরী।

সকালের নাস্তাকে অবহেলা করাঃ সকালে নাস্তা না করলে দেহে ঘাটতি হয় সুগারের। ফলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি মস্তিষ্কে পৌঁছোতে পারে না। এতে মস্তিষ্ক ঠিক মতো কাজ করতে পারে না এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যায়।

চিনি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়াঃ বেশি চিনি জাতীয় খাবার দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর। কারণ অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার মস্তিষ্কের প্রোটিন ও পুষ্টির শোষণ ক্ষমতা একেবারেই কমিয়ে দেয়। ফলে মস্তিষ্কের নিউরন ও কোষ বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় এবং মস্তিষ্কের উন্নতি হয় না ও দক্ষতা বাড়ে না।

একবারে বেশি খেয়ে ফেলাঃ অনেকেই সারাদিন খাওয়ার কথা না ভেবে বাসায় ফিরে একবারে অনেক বেশি খেয়ে ফেলেন যা মস্তিষ্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।একবারে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হুট করে দেহে সুগার সহ অন্যান্য পুষ্টিউপাদান একবারে বেড়ে যায়, ফলে মস্তিষ্ক স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়।

ধূমপান ও মদ্যপানঃ ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে মস্তিষ্কের শিরা উপশিরা সংকুচিত হয়ে আসে এতে পুষ্টি, রক্ত, অক্সিজেন ইত্যাদি সঠিকভাবে মস্তিষ্কে পৌছাতে পারে না।

মাথা ঢেকে ঘুমানোঃ অনেকেই মাথা ঢেকে ঘুমাতে পছন্দ করেন, কাপড় মাথা ঢাকা থাকলে আপনার নিঃশ্বাসের কার্বনডাইঅক্সাইড বের হতে পারে না ফলে শ্বাস প্রশ্বাসের সময় অক্সিজেনের চাইতে কার্বন ডাই অক্সাইড বেশি চলে যায় দেহে। এই অক্সিজেনের অভাব মস্তিষ্কের টিস্যুর স্থায়ীভাবে ক্ষতি করে।