শিশুর বুদ্ধি বিকাশে অতি জরুরি খাবার যেগুলো
১। ওটমিল (Oatmeal): স্মৃতিশক্তি বাড়ানো এবং সঠিক বুদ্ধির বিকাশে ওটমিলের কোনও জুড়িই নেই। সকাল সকাল বাচ্চাকে যদি নাস্তাটা পুষ্টিসমৃদ্ধ দিতে চান, তা হলে ওটমিলই খাওয়ানো অভ্যেস করুন ওকে। আটমাস-দু’বছরের বাচ্চাকে দিনপ্রতি এক বাটি করে ওটমিল দিন। দুই-তিন বছরের জন্য বরাদ্দ করুন প্রতি দিনে দেড় বাটি।
২। ডিম (Egg): ডিমের কুসুমে কোলেস্টরল থাকে, মস্তিষ্কের বাইরের কোষ গঠনে যা সাহায্য করে। এরই সঙ্গে ফ্যাট-সমৃদ্ধ ভিটামিন, কোলাইন, সেলেনিয়াম, ভিটামিন বি-১২ থাকে, যা শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আট মাস-দুই বছর পর্যন্ত বাচ্চাকে দিনে একটা করে ডিম দিন। তার পরে তিন বছর পর্যন্ত দেড়খানাও খাওয়াতে পারেন।
৩। বাদাম (Nuts): পুষ্টিকর ফ্যাট, প্রোটিন আর ভিটামিনের অন্যতম উৎস হল বাদাম। সে আপনি যে বাদামই খাওয়ান। বাচ্চার খাবারেই বাদামের পেস্ট মিশিয়ে দিতে পারেন। ব্রেনের কোষ (মেমব্রেন) ক্ষয়ের থেকে রক্ষা করে বাদাম। মার্কিন এক সমীক্ষা বলছে, পুষ্টির খাতিরে ছয় মাসের বাচ্চার খাবারেও বাদাম মেলাতে পারেন আপনি। সাধারণত এক-দুই বছরের বাচ্চার জন্য আধ-টেবিল চামচ বাদামগুঁড়ো খাবারে মেশান। দুই-তিনের জন্য এক টেবিল চামচ দিতে পারেন।
৪। রাজমা (Kidney beans): ব্রেনের কার্যকারিতা এবং বুদ্ধির বিকাশে সাহায্য করে রাজমা। প্রোটিন আর কার্বোহাইড্রেটের সংমিশ্রণ বাচ্চার জন্য খুবই উপকারি। বুদ্ধির বিকাশের পাশাপাশি ওজন বৃদ্ধিতেও এর ভূমিকা রয়েছে। এক-দুই বছরের বাচ্চাকে (৬০-৮০ গ্রাম), চার টেবল চামচ করে দিনে একবার খাওয়ান। দুই বছর-তিন বছরের জন্য (৯০-১০০ গ্রাম) বরাদ্দ করুন, ৬ টেবল চামচ দিনে একবার।
৫। দই (Curd): বাচ্চার পুষ্টিতে দইয়ের উপকারিতা সবারই জানা। দইয়ে আছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন আর পুষ্টিকর ফ্যাট। বাচ্চার খাবারে এমনই পুষ্টিকর ফ্যাটের অধিক যোগান মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে। বিশেষত দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম ব্রেনের টিস্যুর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং এর কার্যকারিতা উন্নত করে। ভিটামিন বি এর উৎস দই। ছয় মাস থেকে দুই বছরের বাচ্চার জন্য ছোট কাপে দিনে একবার করে দিন। তিন বছরের উপরে দেড় কাপও দেওয়া যেতে পারে।